চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) প্রাঙ্গণে চলমান বেপরোয়া মাদক সেবনের বিরুদ্ধে কথা বলায় চুয়েট সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে হেনস্থা এবং সাংগঠনিক সম্পাদককে মারধরের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (হাবিপ্রবিসাস)।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) হাবিপ্রবিসাসের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মুবাশ্বির ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ রানা প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. গোলাম ফাহিমুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, চুয়েট সাংবাদিকদের সাথে এমন নেক্কারজনক ঘটনায় আমরা মর্মাহত। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাংবাদিকদের ওপর এইরকম পরিকল্পিত হামলা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকিস্বরূপ এবং আইনশৃঙ্খলার পরিপন্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ বজায় রাখা এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে অতি দ্রুত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, ১৫ নভেম্বর চুয়েট সাংবাদিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. গোলাম রববানী সাম্প্রতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান এ বেপরোয়া মাদক সেবনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে লেখেন। তার লেখায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির উপ গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আইদিদ চুয়েট সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জিওন আহমেদকে ও সাধারণ সম্পাদক সায়েদ চৌধুরীকে ১৬ নভেম্বর দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে ডেকে নেয়। তাদের চার ঘন্টার ও বেশী সময় তারা আটকে রেখে গালাগালি ও হেনস্থা করে। মাদকের বিরুদ্ধে যদি সাংবাদিক সমিতি ভবিষ্যতে কোনো লেখালেখি করে তাহলে তাদের জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে বলে তারা তখন হুঁশিয়ারি করতে থাকে। এরপর বেলা চারটার দিকে তারা সাংগঠনিক সম্পাদক মো: গোলাম রববানীকে ডেকে নেয়। প্রথমেই তার থেকে ফোন কেড়ে নেয় ও তাকে হেনস্থা করতে থাকে। পরবর্তীতে মো, আইরিদ আলম, মো. ইমরান হাসান মুরাদ, শেখ নাহিয়ান তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে।